আজ অতীত আমাকে ক্ষণে ক্ষণে পিড়া দিয়ে যাচ্ছে, বড় যাতনা দিয়ে যাচ্ছে - ঐ কচি বয়স গুলোর সাথে এক সাথে উঠা-বসা, মজা-মাস্থি করা, এক সাথে জীবন জীবিকার অন্বেষনে একাংশে কাজ করা সবি যেন আজ কাঁদিয়ে যাচ্ছে। ঐ কচি মুখ গুলোর সাথে আমি অতি পরিচিত- নিকট থেকে আরও নিকটের পরিচিত! সকালে ঘুম থেকে উঠলেই তারদের মুখ গুলো চোখের সামনে এসে দাড়াতো-
যে পিক উঠাছে তার নাম "সাগর" আমার এলাকার ছেলে। সাদা টি শার্ট পরিধান করা ছেলেটার নাম "শান্ত" এই ছেলেটার কথা প্রথম আমার কানে প্রথম আসে। আমি প্রথমে চিনতে পারিনি - আরেক জন "শান্ত" রয়েছে আমি ভেবেছিলাম হয় তো সে আর নেয়। "শান্ত"নাম শুনে আমার পায়ে আর শক্তি পাচ্ছি না। বাসায় ছোট ভাই এসে যখন জানালো যে, আমার সাথে কাজ করে সেই "শান্ত" মারা গিয়েছে- নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার পরিচিত শান্তর বসকে মোবাইলে কল করে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম - আমার পরিচিত শান্ত নাকি কর্ম দিবসে অনুপস্থিত। আমি আরও দূর্বল হয়ে পড়েছি। তার পর - তার জানতে পারলাম ঐ শান্ত নয়। একে একে জানতে পারি আরও তিন জন রয়েছে - তার এক সাথে চার জন লঞ্চে উঠেছিল- এ শান্তও পরিচিত- But আমার সামনে খুব কম মিশতো। সাদা টি-শার্ট পরিহিত শান্ত এর বিয়ের দাওয়াতে শান্তর গ্রামের বাড়ীতে লঞ্চ করে যাচ্ছিল। সাগর, শান্ত, হীরা, তানজিল এরা এক সাথে চলাচল, উঠা-বসা ছিল। তারা সবাই আমার বাসার আসে পাশে থাকতো। আমার কে এরা চার জনেই প্রচন্ড সম্মান করতো। কে জানে, এই সুন্দর সুন্দর মুখ গুলো চির তরে হারিয়ে যাবে। শুধু মাত্র হীরা গুরুতর আহত হয়ে। হাসপাতালে ফিরেছে। তানজিল, শান্ত, সাগর এই তিন জন নাফেরার দেশে চলে গেছেন।
যত টুকু শুনেছি- তারা চার জন মিলে লঞ্চের ছাদে স্টীলের পানির ট্যাং এর পাশে বসে প্রকৃতির বাতাস বুলিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ লঞ্চটি কোন এক ব্রিজের পিলার এর সাথে ধাক্কা লেগে সাদের উপরের পানি ট্যাং তাদের উপর ধসে পড়ে। ফলে এই দুর্ঘটনা টি সংঘটিত হয়।
বিস্তারিত হীরা হাসপাতাল থেকে ফেরে আসলে সঠিক তথ্য তুলে ধরবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন