শ্রমিকের প্রতি উর্ধ্বতনকর্মকতার ভূমিকা -

 মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির উর্ধ্বতন ( মি. কদ্দুস ছদ্দ নাম) কর্মকতা গণ নিজের পদোন্নতি, নিজের সেলারি বৃদ্ধি, নিজের পজিশন বা চেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য তার অধীনস্হ কর্মকতা গুলো নিয়োগ দানের সময় ফ্রেস নিয়োদান করে থাকেন! আবার কর্মরত অবস্থায় থাকা ভাল কর্মকর্তাদের উপরের পজিশনে উঠতে কৌশল গত ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকেন। অযথা ঝাড়ি, বার বার নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের কৈফিয়ত জাহির করতে থাকেন। এত জোড়ে জোড়ে এবং বিরতিহীন ভাবে কথা বলতে থাকেন - যাতে প্রতিপক্ষ কিছু বলারি সুযোগ না পায়! যদি উর্ধ্বতন কর্মকতা ক্ষেত্রে দেখায় যায় যে, সে পুঁথি গত বিদ্যায় বিধান হয়ে থাকে - এবং নির্দিষ্ট দায়িত্বের কোন অভিজ্ঞতার বালাই  তার ভেতরে না থাকে। সেক্ষেত্রে - নিজের উপরের পদবী কর্মরত বসের চামচামি করতে থাকবে। তাদের ডেস্কে গিয়ে নিজে গায়ে পড়ে - কথা বলতে  যাবে! উপরের বসেও সুযোগে বলে বসে - "মি. কদ্দুস সাব- এই সমস্যা, ঐ সমস্যা হয়েছে আপনি একটু দেখলেই হবে! কি হয় আমাকে একটু পরে জানাবেন!"  তার উপরের স্যারেরাও চায় যে, এ ভাবেই চলুক- আমার তো আর মি. কদ্দুস এর দ্বারা কোন সমস্যা হচ্ছে না। মি. কদ্দুস তো আমাকে তৈল দিতেই থাকে! সুতরাং মালিক পক্ষকে বলার কি দরকার-! মি. কদ্দুস এর মত যদি কোন কর্মকর্তা বা বস বা বিগ বস যাই বলোনা কেন! 



তার কপালে ঐ কোম্পানি তে কর্মরত অবস্থা কাজ করে শান্তি পাবেন না! সঠিক কাজের মূল্যায়ন হবে না! পদন্নোতি খুবই ধীরগতিরে হবে। ইনক্রিমেন্ট তুলনামূলক অন্যান্য সেকশনে তুলনাই কম বাড়বে! কাজের কমপ্লিশন ঘন ঘন আসবে- কেননা- সঠিক কাজ কর্মী সঠিক ভাবে করতে চায়বে না- হেলায়ে খেলায়ে সময় পার করে দিবে- অন্য কোন কোম্পানি তে ভাল পরিবেশ পেলে রিজাইন দিয়ে চলে যাবে! 


আরেকটা বিষয় খুবি গুরুত্বপূর্ণ - কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অধীনে - যদি দীর্ঘদিন যাবৎ একটি নির্দিষ্ট স্টাফ কাজ করে এবং তুলনামূলক বছরে রিজাইন নাই বললেই চলে কোম্পানির কাছে সেই উর্ধ্বতন এক্সিলেন্ট অফিসার। মালিক পক্ষ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে-যে, এই কর্মকর্তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। শ্রমিক হতে অফিসার দের বুঝাতে সক্ষম। যার জন্যে মালিক পক্ষের ঐ সেকশনের প্রতি আলাদা সুদৃষ্টি থাকে! সুযোগ সুবিধা বাড়তে থাকে। বিগ বসদেরও চাকুরির পজিশন গ্রোআপ হতে থাকে। 


অর্থাৎ সেকশন বস যদি ভাল হয়- অল সেকশনের জন্য ভাল, আর সেকশন বস যদি খারাপ হয় সেকশনের সবার জন্যেই ক্ষতি। তখন - মালিক পক্ষ অন্য ধারায় পথ চলতে থাকবেন- "মনের কোনে একটাই নির্দেশ ভাসতে থাকে- গরীবি পুঁথিগত বিদ্যান হটাও!" তা না হলে তার মাথার উপর কাক এর বসিয়ে দিবে যাতে - অন্যান্য বিস বসদে তেল মাঝা বন্ধ করে এবং নিজে কাজ শিখার চেষ্টা হবে এবং প্রোপার্লি প্রতিটা কাজ সমপর্ণ হবে।

Copy from Admin Facebook profile (user name md.khorsed.944.com)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন